রাজনীতি একটি সেবাধর্মী পেশা হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত। কিন্তু বাস্তবে এমন কিছু রাজনীতিবিদ রয়েছেন, যাদের জীবিকা একমাত্র রাজনীতি এবং আয়ের প্রধান উৎস দুর্নীতি। জনগণের সেবার নামে এসব ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ হাসিল এবং সম্পদ অর্জনের জন্য রাজনীতিকে ব্যবহার করছেন।
দুর্নীতির মূল উৎস কী?
১. ক্ষমতার অপব্যবহার:
অনেক রাজনীতিবিদ জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার বদলে ক্ষমতাকে ব্যক্তিগত সম্পদ বাড়ানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন। সরকারি টেন্ডার, চাঁদাবাজি ও ঘুষের মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়ার ঘটনা প্রায়শই শোনা যায়।
২. স্বচ্ছতার অভাব:
রাজনীতিতে আয়ের উৎস সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো নিয়ম না থাকায় অনেকে অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জন করছেন। দুর্নীতির কারণে জনসেবা বাধাগ্রস্ত হয় এবং সাধারণ মানুষ এর ভুক্তভোগী হয়।
৩. অঘোষিত সম্পদ:
অনেক রাজনীতিবিদের আয়ের উৎসের তথ্য প্রকাশিত হয় না। এতে দুর্নীতির আড়ালে তাদের অবৈধ কার্যক্রম গোপন থাকে।
সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া
সাধারণ মানুষের মধ্যে এ নিয়ে চরম ক্ষোভ রয়েছে। একজন নাগরিক হিসেবে প্রত্যেকে বিশ্বাস করেন, রাজনীতি জনসেবার জন্য হওয়া উচিত। কিন্তু যেসব রাজনীতিবিদ নিজেদের স্বার্থে দুর্নীতি করছেন, তারা জনগণের আস্থাকে ধ্বংস করছেন।
কীভাবে সমাধান সম্ভব?
• রাজনৈতিক ব্যক্তিদের আয়ের উৎসের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।
• দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান প্রয়োগ করতে হবে।
• গণমাধ্যম এবং নাগরিক সমাজকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।
• নেতৃত্বের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে, যেখানে রাজনীতি হবে সেবা করার মাধ্যম।
যেসব রাজনীতিবিদ জীবিকা হিসেবে দুর্নীতিকে বেছে নিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা সময়ের দাবি। রাজনীতি যখন স্বার্থপরতার হাতিয়ার হয়ে যায়, তখন জনগণের স্বপ্ন ও আশা ধ্বংস হয়। সময় এসেছে এই সংস্কৃতি বদলানোর।