বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতনে এবং মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে তাকে ছয় বছর আটক করে রাখা হয়। এই আটক করে রাখার সময় তিনি অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান হাসিনাকে অনুরোধ করেছিলাম, তাকে বাইরে চিকিৎসা করতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু এই ফ্যাসিস্ট হাসিনা কোনো কথাতেই কর্ণপাত করেননি।’
তিনি বলেন, ‘আল্লাহর অশেষ রহমতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর আজ দেশনেত্রী সব মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেছেন। এজন্য আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের ফিরে আসা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আশা করছি সুচিকিৎসা নিয়ে বেগম খালেদা জিয়া আবার দেশের মানুষের কাছে ফিরে আসবেন।’
কোনো রাজনৈতিক বার্তা দিয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক বার্তা বলতে তিনি দেশের মানুষের ভালো থাকার কামনা করেছেন এবং গণতন্ত্র যেন পুনরুদ্ধার হয়, সে বিষয়ে আমরা সবাই যেন ঐক্যবদ্ধ থাকি সেই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।’
চিকিৎসা শেষে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান একসঙ্গে দেশে ফিরবেন এমন প্রত্যাশা করছেন দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। দলের চেয়ারপারসনকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানাতে এসে দলটির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় আমরা বারবার আবেদন করেছিলাম। আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি, চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেনি। দেশের ১৬ কোটি মানুষ দোয়া আমাদের নেত্রী যেন সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসেন। এটা আমাদের সবার প্রত্যাশা।’
মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া এ দেশের মানুষের আবেগের জায়গা। আমাদের নেতা তারেক রহমান মাকে নিয়েই দেশে ফিরবেন, এটা আমাদের আশা।’